কয়েকটি ট্রেডমিল রেকমেন্ডেশন

ফিটনেসের জন্য সবথেকে ভাল এবং সহজ উপায়টি হলো নিয়মিত হাটা বা দৌড়ানোকে নিজের ওয়ার্কআউট রুটিনের পার্ট করে নেয়া। স্পোর্টস বা এথলেট হিসেবে নিজেকে গিড়তে চাইলেও শুরু করার জন্য এরথেকে সহজ আর পথ নেই। কিন্তু খারাপ আবহাওয়া, ব্যস্ততা বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

আমার ছোট ভাই তার জিবনের প্রথম লং রানের (সম্ভবত ৫ কিলো রান) কম্পিটিশনে নাম দিয়েছে। সেজন্য সে কাল ভোর ৬ টায় হাটতে বেড়োবে বলেছিল, বাট বৃষ্টির কারণে শেষ পর্যন্ত আর বের হয়নি। খারপ আবহাওয়া ব্যস্ততার কারণে ট্রেডমিল একটা ফিজিবল অপশন মনে হয় আমার কাছে। 

হাতের কাছে ট্রেডমিল থাকলে এক্সারসাইজ করার কথাটা মাথায় আসবে বারবার। ফলে সময় সুযোগ করে রেগুলার হাটা বা দৌড়ানোর গোলটা পূরণ করা যাবে। এতগুলো টাকা দিয়ে একটা জিনিস কেনার পর নিজের থেকেও এক্সট্রা মোটিভেশান আসে যে নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে। নাহলে টাকাটা লস।

তো আমি চেষ্টা করবো আমার কাছে দেশে এভেইলেবল ট্রেডমিলগুলোর মধ্যে যেগুলো কনসিডার করার মত মনে হয়েছে এমন ৮ টি ট্রেডমিলের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কথা বলতে যাতে করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী যুতসই মডেলটি বেছে নিতে পারেন।


এই মডেলটার মোটর ২ হর্স পাওয়ারের। এটাতে ঘন্টায় ৮০০ মিটার থেকে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে দৌড়ানো যাবে।১০০ কেজি পর্যন্ত লোড নিতে সক্ষম।



এই মডেলটার দাম বেশ কম, কারণ হচ্ছে এটাতে মোটর নেই। ম্যানুয়াল এই ট্রেডমিল মূলত ইনক্লাইন্ড বা একটু ঢালু করে সেট করা হয় আর  আপনাকে পা দিয়ে বেশি ফোর্স ইউজ করতে হবে হাটার জন্য। অর্থাৎ এক্সারসাইজ এটাতে মোর ইন্টেন্স। বিদ্যুৎ খরচেরও ব্যাপার নেই।


এই মডেলটার মোটর ২.৫ হর্স পাওয়ারের। এটাতে ঘন্টায় ৮০০ মিটার থেকে ১৪ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে দৌড়ানো যাবে।




আরেকটি ম্যানুয়াল ট্রেডমিল। ম্যানুয়াল মানেই দাম বেশ কম।ফোল্ডেবল হওয়ায় গুছিয়ে এক কর্নারে রেখে দেয়া যায়


এই মডেলটার মোটর ২ হর্স পাওয়ারের। এটাতে ঘন্টায় ৮০০ মিটার থেকে ১৪ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে দৌড়ানো যাবে।

এই মডেলটার মোটর ২.৫ হর্স পাওয়ারের। এটাতে ঘন্টায় ৮০০ মিটার থেকে ১০৪ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে দৌড়ানো যাবে।

উপরের মডেলগুলো দেখে ইতোমধ্যেই বুঝতে পেরেছেন যে ট্রেডমিল মূলত দুই রকমের ম্যানুয়াল এবং অটোমেটিক। অটোমেটিক ট্রেডমিলগুলোতে মোটর কত হর্স পাওয়ার এটা গুরুত্বপূর্ণ। যারা কম স্পেসে ট্রেডমিল রাখতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই দেখে নিবেন যে মডেলটিতে ফোল্ডেবল অপশন আছে কিনা। ফোল্ডেবল হলে এক্সারসাইজ বাদে বাকি সময় গুছিয়ে এক কোণায় রেখে দিতে পারবেন। এছাড়াও কিছু অতিরিক্ত ফাংশন থাকে যেমন কিছু ট্রেডমিল এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যে আপনি পুলআপ সহ আরো দু-চারটা এক্সারসাইজ করতে পারবেন। 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ওভেন কেনা নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা

চায়ের গ্রেড

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভ্রমন বৃত্তান্ত